বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার নিয়ম ২০২১ - How To Delete bkash Account Permanently



আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদেরকে শেখাবো কিভাবে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করবেন। অনেকেই আপনারা আমার এই ওয়েব সাইটে বিকাশের বিভিন্ন পোস্ট দেখে জানতে চাইছেন কিভাবে বিকাশ একাউন্ট পার্মানেন্টলি ডিলিট করা যায়। আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদেরকে স্টেপ বাই স্টেপ দেখিয়ে দিব কিভাবে বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করবেন। 


 

কারণ অনেক সময় আমাদের বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করা প্রয়োজন পড়ে থাকে! এই ধরেন যেমন আব্বুর নামে আমার বিকাশ একাউন্ট খোলা এখন কোন একটা সমস্যা হইলে তাকে বারবার সাথে নিয়ে বিকাশ অফিসে যাইতে হয় অথবা বিভিন্ন ধরনের সমস্যা হতে পারে অথবা আমরা চাচ্ছি যে আমার এই বিকাশ একাউন্টে সিম থেকে অন্য সিমে ট্রান্সফার করার জন্য সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের প্রথমে বিকাশ একাউন্টটা ডিলিট করে পুনরায় আমরা চাইলে অন্য সিমে খুলতে পারবো অথবা অন্য আইডি দিয়ে আমাদের এই সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবো সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের প্রথম বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করতে হবে। 


এখন আমি আপনাদেরকে স্টেপ বাই স্টেপ জানিয়ে দিবো কিভাবে আপনারা আপনার বিকাশ একাউন্টটা ডিলিট করবেন। এখানে আবার একশ্রেণীর লোক আছে যারা চাচ্ছেন মন থেকে আর বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করবেন না কারণ বিকাশের ক্যাশ আউট চার্জ সেন্ড মানি যে নতুন নতুন আপডেট গুলো আসছে এগুলো দেখে অনেকেই বিকাশের প্রতি রাগান্বিত হয়ে যাচ্ছেন যে বিকাশ আর ব্যবহার করবোই না তো চলুন জেনে নেই বিকাশ একাউন্ট কিভাবে ডিলিট করতে হয়।


প্রকৃতপক্ষে বিকাশ একাউন্ট আপনি নিজে নিজে কোনভাবেই ডিলিট করতে পারবেননা, অথবা বিকাশের হেল্পলাইনে কল করেও কোন ভাবে আপনার বিকাশ একাউন্টটা কি আপনি বন্ধ করতে পারবেন না ঘরে বসে ঘর থেকে বের হতেই হবে। 

বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করতে হলে অবশ্যই বিকাশের কাস্টমার সার্ভিসে যেতে হবে। 


আপনাকে সাথে করে দুইটা জিনিস নিয়ে যেতে হবে: 

১। আপনি যে সিমে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন সেই সিমটা সাথে নিয়ে যেতে হবে।

২। যার নামে বিকাশ একাউন্ট খুলেছেন তাকে যেতে হবে। যদি আপনার নামে খোলা থাকে তাহলে আপনি যাবেন এবং আপনার ভোটার আইডি কার্ড সাথে নিয়ে যাবেন এবং যদি অন্য কারো নামে আপনার বিকাশ একাউন্ট খোলা থাকে তাহলে তার ভোটার আইডি কার্ড এবং তাকে সাথে করে নিয়ে বিকাশের কাস্টমার সার্ভিসে যেতে হবে। 

★যেহেতু করানোর সময় সেহেতু অবশ্যই মুখে মাক্স পরে যেতে হবে। 


বিকাশ অফিসে ঢুকবেন, এরপরে আপনার সমস্যাটা বললে উনারা আপনাকে একটা টোকেন দিবে, টোকেন নিয়ে বসে পড়বেন, এরপর আপনাকে নাম ধরে টোকেন সিরিয়াল অনুযায়ী ডাকা হবে, তারপর আপনি যাবেন, যাওয়ার পরে বলবেন যে আমি আমার বিকাশ একাউন্টটা ডিলিট করে দিতে চাচ্ছি। এরপর উনারা আপনার কাছে জিজ্ঞেস করবে যে ভোটার আইডি কার্ড এনেছেন কিনা এবং সিমটা সাথে আছে কিনা, আপনি বলবেন হ্যাঁ সাথে এনেছি। তারপরে বলবে যে আপনার বিকাশ একাউন্টে যদি কোন ব্যালেন্স থেকে থাকে তাহলে ব্যালেন্স ০০ জিরো করেন। তারপর আপনার বিকাশ একাউন্টে যদি কোন টাকা থাকে তাহলে সেই টাকা অন্য কোথাও ট্রান্সফার করে দিবেন। ব্যালেন্স জিরো জিরো হওয়ার পরে আপনি ওনাদের কনফার্ম করবেন যে আমার ব্যালেন্স আর কোন টাকা নেই। তারপর উনারা আপনার বিকাশ একাউন্ট টাকে বন্ধ করে দিবে এরপর আপনি চাইলে ওই সিমে অন্য কোন আইডি কার্ড দিয়ে আবার বিকাশ একাউন্ট খুলতে পারবেন।


বর্তমান সময়ে মানুষ বিকাশ একাউন্ট ডিলিট করার একটাই কারণ বিকাশ সেন্ড মানি ফ্রি এর নামে ডাকাতি শুরু করেছে। স্পেশাল পাঁচটা নাম্বারে ফ্রিতে 25 হাজার টাকা পর্যন্ত পাঠানো যাবে, এরপর অন্য কোন নাম্বারে টাকা পাঠাতে গেলে পাঁচ টাকা - দশ টাকা করে ফি দিতে হবে। এই আপডেটটা কেউই পছন্দ করে নাই। যার জন্য অধিকাংশ মানুষের বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করা ছেড়ে দিয়ে নগদ একাউন্ট ব্যবহার করতেছে। কারণ বিকাশ সেন্ড মানি করতে গেলে পাঁচ টাকা দশ টাকা করে ফি কাটবে আবার ক্যাশ আউট করতে গেলে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা করে কাটবে। সেখানে নগদ একাউন্টে সেন্ড মানি করতে গেলে কোন ফি কাটবেনা একদম ফ্রি আবার ক্যাশ আউট করতে গেলে ১১ টাকা ৫০ পয়সার মত কাটে। 


সে ক্ষেত্রে কেনই বা মানুষ বিকাশ একাউন্ট ব্যবহার করবে নগদ বাংলাদেশের অধিকাংশ জায়গায় এখন এভেলেবেল রয়েছে সেহেতু অনেক মানুষ নগদ একাউন্ট ব্যবহার করতেছে এমনকি সরকারের পক্ষ থেকে যেসকল অনুদান দেয়া হচ্ছে সেখানে এখন থেকে নগদ ব্যবহার করা হচ্ছে। নগদ এর মাধ্যমে টাকা দেওয়া হচ্ছে। বিকাশ বাদ দিয়ে নগদ ব্যবহারের আরেকটা কারণ রয়েছে মানুষের কষ্ট করে নগদ একাউন্ট খোলা লাগতাছে না, শুধুমাত্র ওই সিম দিয়ে *১৬৭# ডায়াল করে ৪ ডিজিটের  পিন সেট করে নিলেই অটোমেটিকলি অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে যাচ্ছে। যার জন্য অনেকেই এখন বিকাশ অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে নগদ ব্যবহার করার অভ্যাস করতাছে।


যাই হোক আজকের এই ব্লগে আপনাদের কে দেখিয়ে দিলাম যে কিভাবে আপনার বিকাশ একাউন্টটা কে আপনি সারা জীবনের জন্য ডিলিট করে দিবেন। যদি আজকের এই ব্লগ টা আপনার ভালো লেগে থাকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন, পরবর্তীতে এরকম আরো লেখা পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন। ধন্যবাদ!!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন