আসসালামুআলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদেরকে দেখাবো কিভাবে আপনি দেখবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড বা আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে এবং কোন কোন সিম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে। এই ব্লগের ভিতর আমি একটা সিস্টেম আপনাদের দেখিয়ে দিব যার মাধ্যমে আপনি দেখে নিতে পারবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে এই পর্যন্ত কতটি সিম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে এবং সেই সিমগুলোর নাম্বার কি, আপনি চাইলে এটা বের করার পর যে কোন সিম পুনরায় বন্ধ করে দিতে পারবেন এবং নতুন কোন সিম রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন।
আপনার এনআইডিতে যদি জায়গা ফাঁকা থাকে তাহলে নতুন সিম কিনতে পারবেন আর যদি ফাকা না থাকে তাহলে তো পারবেন না।এগুলোর আগে অবশ্যই আমাদের চেক করতে হবে যে এই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আসলে কোন কোন সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে এবং কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা আছে তো বেশি কথা না বলে চলুন সরাসরি এই বিষয়টা দেখে নেই।
সিম রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম টা কিন্তু আগে এভাবে ছিলোনা একটা সিম আপনি আপনার এক কপি ছবি দিয়েই কিন্তু কিনতে পারতেন। কিন্তু এই যে বায়োমেট্রিক সিস্টেম টা নিয়ে আসছে এখন থেকে আপনার ফিঙ্গারপ্রিন্ট এবং ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া এবং নির্দিষ্ট পরিমাণ সিম ছাড়া আপনি আনলিমিটেড সিম কিনতে পারবেন না এবং রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না যদি আপনার নামে ভোটার আইডি কার্ড না থাকে তাহলে আপনি বাংলাদেশ থেকে কোন সিম কিনতে পারবেন না। সিম কিনতে হলে অবশ্যই যার ভোটার আইডি কার্ড রয়েছে বা জাতীয় পরিচয় পত্র রয়েছে তার জাতীয় পরিচয় পত্র লাগবে এবং তার ফিঙ্গারপ্রিন্ট লাগবে সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার আব্বু আম্মু অথবা বড় ভাই বোনের ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে গেলেও সিম কিনতে পারবেন না। অবশ্যই তাদের কেও সাথে করে নিয়ে যেতে হবে, কারণ তাদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে তার পরে সিম কিনতে হবে। আগে বাংলাদেশের সিম কিনা যতটা সহজ ছিলো এখন বাংলাদেশে সিম কিনা ঠিক ততটাই কঠিন।
যার জন্য আমাদের এটা চেক করার প্রয়োজন পড়ে থাকে যে কিভাবে আমরা দেখব আমাদের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা এবং কোন কোন কোম্পানির সিম রেজিস্ট্রেশন করা, পাশাপাশি সেই সিমের নাম্বার গুলো কি অনেক সময় আমরা সিম কিনে থাকি হঠাৎ করে সিমটা হারিয়ে যায় কিংবা সিমটা অন্য কেউ নিয়ে নেয় এরপর দেখা গেল আমরা আরো দুই একটা সিম কিনছি তারপরে আমাদের সিম কেনার লিমিট টা শেষ হয়ে গেছে, এবার আমাদের কি করতে হবে যেকোন একটা সিম বন্ধ করতে হবে তারপরে নতুন একটা সিম ওই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে আমরা কিনতে পরবো, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের এটা চেক করা প্রয়োজন পড়ে থাকে যে কোন কোন সিম আমরা আমাদের ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেছি সিমের নাম্বার গুলো যদি দেখতে পারি তারপরে অফিসে গিয়ে যে কোন একটা সিম কিন্তু বন্ধ করে দিয়ে পুনরায় ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে নতুন সিম কিনতে পারব।
একটা ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে এটা যদি আপনি বের করতে চান তাহলে ওই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা এরকম যেকোন একটা সিম থেকে আপনাকে একটা কোড ডায়াল করে তারপর এটা বের করতে হবে। আপনি সরাসরি ওই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা যেকোন একটা সিম থেকে ডায়াল পেডে চলে যাবেন। যাওয়ার পরে আপনি
↑তারপর দেখতে পাবেন অটোমেটিকলি সাথে সাথে আপনার মোবাইলে একটা মেসেজ চলে আসবে এবং এই মেসেজ এর ভিতর আপনি দেখতে পারবেন আপনার কতটা সিম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে এই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে এবং কোন কোন সিম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে এবং কোন কোন কোম্পানির সিম রেজিস্ট্রেশন করা রয়েছে।
এরপর থেকে আপনি খুব সহজেই ফাইন্ড আউট করতে পারবেন যে প্রকৃতপক্ষে আপনার এই ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে পরবর্তীতে আপনি যেকোনো পদক্ষেপ নিতে পারবেন খুব সহজে।
এরপর যদি কোন সিম আপনি বন্ধ করতে চান তাহলে সরাসরি আপনি সেই সিমের অফিসে চলে যাবেন যাওয়ার পরে বলবেন যে আমার এই সিমটা আমি বন্ধ করতে চাচ্ছি! ওনারা হয়তো আপনাকে রিকোয়েস্ট করতে পারে বা আপনার কাছে শুনতে পারে কেন আপনি সিমটা বন্ধ করতে চাচ্ছেন, তারপরে আপনি নির্দিষ্ট কারণ বলবেন যে কারণে আমি সিমটা বন্ধ করতে চাচ্ছি এরপর যদি আপনার ওই সিমে কোন ইমারজেন্সি ব্যালেন্স নেওয়া থাকে অর্থাৎ টাকা ধার করা থাকে তাহলে সেই টাকাগুলো আপনার পরিশোধ করতে হবে! টাকা গুলা পরিশোধ করার পরে আপনার সিমটা উনারা বন্ধ করে দিবে। তারপর আপনার প্রয়োজনে আপনি চাইলে পুনরায় নতুন সিম কিনে ব্যাবহার করতে পারবেন। এভাবে মূলত চেক করবেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কতগুলো সিম রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে!!
যদি আজকের ব্লগটা ভালো লেগে থাকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এরকম আরো সুন্দর সুন্দর ব্লগ পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করবেন,, ধন্যবাদ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন