আসসালামুআলাইকুম প্রিয় ফ্রিল্যান্সার ভাই ও বোনেরা আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদেরকে দেখিয়ে দিবো কিভাবে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিবেন। আপনারা ইতিমধ্যে সবাই জেনে গেছেন বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আইডি কার্ড স্বীকৃতিস্বরূপ দেয়া হচ্ছে। এই আইডি কার্ড কিভাবে তৈরি করবেন, কিভাবে ডাউনলোড করবেন, কিভাবে নিবেন, কত টাকা চার্জ দিতে হবে, কতদিন মেয়াদ থাকবে, কারা কারা এই আইডি কার্ড পাবে, কি কি সুবিধা পাবেন ইত্যাদি ইত্যাদি! সবকিছু আজকের এই ব্লগে আমি আপনাদের সাথে ধারাবাহিকভাবে দেখানোর চেষ্টা করব। তাই বেশি কথা না বলে চলুন সরাসরি মুল ব্লগে চলে যাই।
এখানে ফ্রিল্যান্সার বলতে শুধুমাত্র ফাইবার এবং আপওয়ার্ক এ যারা কাজ করেন শুধুমাত্র এই মানুষগুলোকে বোঝানো হয় নাই, আপনি ইন্টারনেট থেকে যদি ইনকাম করে থাকেন সেটা যেকোন সেক্টরে হতে পারে। হতে পারে ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, অথবা অন্য অন্য সেক্টর,, আপনি অনলাইন থেকে যদি ইনকাম করে থাকেন তাহলে আপনি এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে পারবেন। তবে এখানে প্রথম যে শর্তটা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেটা হল আপনার সর্বশেষ এক বছরের ভিতর অর্থাৎ ১২ মাসের ভিতরে ১০০০ ডলার ইনকাম থাকতে হবে। তা না হলে আপনি এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে পারবেন না। প্রথম শর্ত দেয়া হয়েছে সর্বশেষ ১২ মাসের ভিতরে আপনার ১০০০ ডলার ইনকাম এর প্রুফ দেখাতে হবে এটা হলো আপনার প্রথম যোগ্যতা।
ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নেওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার যে ওয়েবসাইট রয়েছে সরাসরি এই ওয়েবসাইটে চলে যাবেন গুগল থেকে ওয়েবসাইটে যাওয়ার পরে এখানে ছোট্ট একটা ফ্রম দিবে আপনাকে এই ছোট্ট ফর্মটা পূরণ করতে হবে এবং এই ফর্মটা আপনি যখন পূরণ করবেন তখন আপনার মাসিক ইনকাম সর্বশেষ এক বছরে ১ হাজার ডলার থাকতে হবে। এরপর আপনি এই ইনফর্মেশন গুলো পূরণ করে ফর্মটা সাবমিট করে দিবেন। তারপর এখান থেকে আপনাকে আইডি কার্ড টা নেওয়ার জন্য ১৫০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে। এই ১৫০০ টাকা না দিলে আপনার আইডি কার্ড কিন্তু হবে না। যখন আপনি এই ফর্মটা পূরণ করছেন এবং এই ১৫০০ টাকা জমা দিয়েছেন তারপর এটা সাবমিট হয়ে যাবে এরপর ওনারা আপনাকে ভিডিও কল করতে পারে অথবা স্ক্রিন শেয়ার এর মাধ্যমে আপনার ১০০০ ডলার ইনকাম এর প্রুফ তারা লাইভ দেখতে চাইতে পারে, আপনি যে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ইনকাম করেছেন সেখানে সর্বশেষ ১২ মাসের ভিতরে ১০০০ ডলার ইনকাম থাকতে হবে।
এরপর তারা এটা ভেরিফাই করে আপনার আইডি কার্ড আপনাকে দিয়ে দিবে। এরপর আইডি কার্ডটা আপনি অনলাইনের মাধ্যমে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন, এটা সম্পূর্ণ ভার্চুয়াল একটা কার্ড হবে। আপনি চাইলে এটিকে পুনরায় প্রিন্ট করে লেমিনেটিং করে আপনি আপনার মত করে একটা আইডি কার্ড বানিয়ে নিতে পারবেন। তবে এটার কোন অরিজিনাল কপি বা স্মার্ট কপি আপনাকে দিবেনা। এখানে আরেকটি বিষয় আপনাদের জানিয়ে রাখা উচিত সেটা হলো এই যে কার্ড আপনি ১৫০০ টাকা দিয়ে নিচ্ছেন এ কার্ডের মেয়াদ থাকবে ১ বছর। ১ বছর পরে এই কার্ডটা কে পুনরায় যদি রিনিউ করতে চান তাহলে ১০০০ টাকা জমা দিতে হবে।
এখন কথা হল এই ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড থেকে আপনারা কি কি উপকার পাবেন, বা কিভাবে উপকৃত হবেন এ ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ডের জন্য, প্রকৃতপক্ষে আপনার তেমন কোন উপকার হবে না শুধুমাত্র আপনি অনলাইনে কাজ করেন এটার একটা স্বীকৃতি মাত্র। এটা আপনার মনের চাহিদা। মানুষকে দেখাতে পারবেন জাস্ট এতোটুকুই, এর বাইরে কিছু না।
আপনি চাইলে আপনার নামে ফ্রিল্যান্সার একটা আইডি কার্ড করে নিতে পারেন, আবার নাও করতে পারেন, যেহেতু এখানে একটা লিমিটেশন দিয়ে দিয়েছে যে ১২ মাসের ভিতরে অবশ্যই আপনার ১০০০ ডলার ইনকাম থাকা লাগবে! এর অর্থ হল সবাই কিন্তু এই আইডি কার্ডটা মন চাইলেও করতে পারবে না। কারণ ১০০০ ডলার ইনকাম খুব সহজ কোন বিষয় না, তাই আপনি চাইলে একটা ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড বানিয়ে নিতে পারেন। তো এটাই হলো বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সারদের স্বীকৃতি হিসেবে যে ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে এই আইডি কার্ড বানানোর বা ডাউনলোড করার একমাত্র সিস্টেম যদি আপনার মন চায় যদি আপনার সর্বশেষ ১২ মাসের ভিতরে ১০০০ ডলার ইনকাম থাকে তাহলে আপনি একটা ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড নিতে পারেন! আবার যদি মনে করেন ফালতু ১৫০০ টাকা কেন দিব, বা প্রতিবছর ১০০০ টাকা কেন দিবো, যেহেতু কোনো সুযোগ-সুবিধা নাই, তো এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণ আপনার নিজের উপরে ডিপেন্ড করে। চাইলে নিতে পারেন, আবার নাও নিতে পারেন। আমি জাস্ট বিষয়টা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ক্লিয়ার করে দেওয়ার জন্য!
যদি আজকের ব্লকটা আপনাদের ভালো লেগে থাকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং পরবর্তীতে এরকম আরো ইনফরমেশন পাওয়ার জন্য আমাদের সাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে ভুলবেন না! ভাল থাকবেন, নিজের খেয়াল রাখবেন,, ধন্যবাদ।।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন